বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ লোকসানের ভয়ে হোটেল, রেস্তরা খোলা হয়েছে তা আবার বন্ধ করে দিচ্ছেন । কেউ কেউ দাবী করেন. তাঁরা কোনও রকম ভাবে ঝুঁকি নিতে চাইছেনা না। রেস্তারার মালিক পিন্টু জানান, অনেক মানুষ আছেন যাঁরা উপসর্গবিহীন ভাবে ভাইরাস আক্রান্ত ।
ফলে কোনও ভাবেই বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে কে আক্রান্ত আর কে নন। তিনি আরও বলেন, যখন বাইরে থেকে লোক ঢুকছে, আমরা কাউকেই আটকাতে পারব না।
আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাই ব্যবসা বন্ধ রাখছি। পাশাপাশি তাঁরা এ-ও জানাচ্ছেন যে, হোম ডেলিভারিতে মানুষ উৎসাহ দেখালেও হোটেল-রেস্তারায় এসে, বসে খাওয়ার বিষয়ে এখনও মানুষ কতটা উৎসাহ দেখাবেন, সেটা নিয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।
আদৌ ব্যবসার খরচ উঠবে কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। লোকসানের কথা ভেবে হোটেল- রেস্তরা মালিক দোকান খোলতে রাজি নন।
নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার একটি নামী রেস্তরা যেমন দুই দিন আগে থেকেই খোলা হয়েছে। সেখানে ঢোকার মুখে রাখা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজয়ার। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে টেবিল। প্রতিটি টেবিলে দুটো করে চেয়ার রেখে মুখোমুখি বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
একজন ক্রেতা খেয়ে চলে যাওয়ার পর টেবিল স্যানিটাইজয় করা হচ্ছে। টেবিল-বয় মাস্ক ও গ্লভস পরে থাকছেন। রেস্তরাটির মালিক আমিনুল বলেন, রেস্তরা খোলার পর থেকে মোটামুটি সাড়া পাচ্ছি।
আমাদের এখানে সরকারি নির্দেশ মেনে সমস্ত রকম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য দিকে, হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা থাকলেও সে ভাবে মানুষের ভিড় চোখে পড়েনি।
নগরীর বিভিন্ন জায়গায় খাবারের হোটেল খুলতে দেখা গিয়েছে। এক হোটেলের মালিক বলেন, “ডাল, ভাত, তরকারি, ভাজা এবং মাছের ঝোল রান্না করেছি। তা-ও কেউ খেতে আসছেন না।
দু’-চার জন দোকান থেকে খাবার কিনে নিয়ে গিয়েছেন। অপরদিকে বেশ কয়েকটি হোটেল খুললেও সে ভাবে মানুষ আসেননি।
বাসে যাত্রী কম হওয়ার কারনে হোটেল গুলোতে তেমন ভির দেখা যাচ্ছে না। ফলে যে কারণে বাইরের লোকজন আসছে না।
এছাড়াও মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। কেউ সাহস করে হোটেলের খাবার খাচ্ছেন না। হোটেল চালানোর খরচই উঠছে না তাঁদের।
Leave a Reply